প্রথমে ২৭৭ রান করে ইতিহাস লেখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স করে ২৪৬। এদিনের টি২০ ম্যাচে উঠল মোট ৫২৩ রান। কারও শতরান ছাড়াই। টি২০-এর ইতিহাসে ৫২৩ রানের নজির দ্বিতীয়টি নেই। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ৫১৭ রান উঠেছিল। সেই নজিরই ভেঙে গেল।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে পরপর দুই ম্যাচে হার। নিজেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারছেন না হার্দিক পান্ডিয়া। তবে এদিন মুম্বই লড়াই করেছে। কিন্তু হায়দরাবাদ এত বেশি রান করে ফেলেছিল যে, সেই লক্ষ্যে শেষ শেষ পর্যন্ত আর পৌঁছতে পারেনি তারা। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে মুম্বই। যা আইপিএলে তাদের নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। তবু ৩১ রানে তাদের হারতে হল। এদিকে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার নজিরও তৈরি হল এদিনের ম্যাচে। হায়দরাবাদে ম্যাচের ২০+২০, মোট ৪০ ওভারে ৩৮টি ছক্কার মারার নজির তৈরি হয়েছে। যা আইপিএলের ইতিহাসে তো বটেই, পুরো বিশ্বের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ। তবে এদিনের ম্যাচে শেষ হাসি হেসে পয়েন্টের খাতা খুলল হায়দরাবাদ। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল হায়দরাবাদ। মুম্বই ২ ম্যাচ খেলে ফেলেও, শূন্য পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের নয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর করেও ৩১ রানে হারল মুম্বই
নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর করেও ৩১ রানে হারল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিন মুম্বই নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে। ২২ বলে ৪২ করে অপরাজিত থাকেন টিম ডেভিড। ৬ বলে অপরাজিত ১৫ করেন রোমারিও শেফার্ড। যা আইপিএলে তাদের নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে ২০২১ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই ৯ উইকেটে ২৩৫ রান করেছিল। সেই নজির এদিন মুম্বই ছাপিয়ে গেলেও, ম্যাচ জিততে পারল না। এই নিয়ে আইপিএলে পরপর দুই ম্যাচ হারল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্ব শুরুটা বেশ খারাপই হল এমআই-এর।
আউট হার্দিক
১৮তম ওভারের শেষ বলে নিজের উইকেট হারিয়ে বসে থাকল হার্দিক পান্ডিয়া। উনাদকাটের বল তিনি ঠিক করে ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। ভুলভাল শট খেলে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন হার্দিক। ২০ বলে তিনি করেছেন ২৪ রান। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন রোমারিও শেফার্ড। ১৬ বলে ৩৫ করে ক্রিজে রয়েছেন টিম ডেভিড। ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২২৪ রান মুম্বইয়ের। ১২ বলে চাই ৫৪ রান। হারের ভ্রুকুটির সামনে মুম্বই।
১৭তম ওভারে এল ২০ রান, ২০০ পার মুম্বইয়ের
১৭তম ওভারে এল ২০ রান। সেই সঙ্গে ২০০ পার করে গেল মুম্বই। তবে জেতার অঙ্কটা এখন বড় কঠিন তাদের। ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২১০ রান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। জিততে হলে ১৮ বলে মুম্বইয়ের চাই ৬৮ রান। এই ওভারে ভুবনেশ্বরকে ২টি ছক্কা এবং একটি চার মারেন টিম ডেভিড। সেই সঙ্গে তিনি ১২ বলে ২৩ করে ফেললেন। হার্দিকের সংগ্রহ ১৮ বলে ২৩ রান।
আউট তিলক, ১৫তম ওভারে ম্যাচের রং বদলে দিলেন কামিন্স?
১৫তম ওভারে বল করতে এসে একেবারে ম্য়াচের রংই বদলে দিলেন প্যাট কামিন্স। তিনি এই ওভারে তিলক বর্মাকে আউট করার পাশাপাশি মাত্র ৩ রান দিলেন। স্বভাবতই মুম্বইয়ের রানের গতিতে বড় ধাক্কা খেল। ওভারের প্রথম বলেই তিলক বর্মাকে ফেরান কামিন্স। ৩৪ বলে ৬৪ রান করে ময়াঙ্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিলক। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন টিম ডেভিড। ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান মুম্বইয়ের। ১৫ বলে ২০ রান হার্দিকের। ৩ বলে ২ রান টিম ডেভিডের।
হাফসেঞ্চুরি তিলকের, ১৫০ পার মুম্বইয়ের পড়ল উইকেটও
১১তম ওভার একেবারে ঘটনাবহুল। এই ওভারে একদিকে তিলক হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন। অন্যদিকে দেড়শো পার করে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আবার নমন ধীরের উইকেটও পড়ল। ওভারের প্রথম বলে উনাদকাটকে চার মেরে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিলক। ২৪ বলে তিনি অর্ধশতরান করে ফেলেন। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা। তবে এই ওভারের চতুর্থ বলে উনাদকাট ফেরান নমনকে। ১৪ বলে ৩০ করে আউট হন নমন। পরিবর্তে ক্রিজে আসেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। এই ওভারে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করে যায় মুম্বই। ১১ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫১ রান। তিলক করেছেন ২৫ বলে ৫২ রান। হার্দিক ২ বলে ১ রান করেছেন।
দশম ওভারে এল ২২ রান
তিলক বর্মা একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন। দশম ওভারে মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে যোগ হল ২২ রান। ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৪১ রান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। তিলক এই ওভারে শাহবাজ আহমেদকে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ২৩ বলে ৪৭ রান তিলকের। ১২ বলে ২৬ রান নমনের।
১০০ পার মুম্বইয়ের
অষ্টম ওভারে ১০০ পার করে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৮ ওভার শেষে মুম্বইয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০২ রান। এখনও লক্ষ্য অনেক দূর। ৭২ বলে ১৭৬ রান করতে হবে। যে লক্ষ্যে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব লাগছে। তবু ক্রিকেটে যা খুশি ঘটতে পারে। মুম্বইকে আপাতত লড়াইয়ে রেখেছে তিলক বর্মা এবং নমন ধীর। ১৫ বলে ১৯ রান তিলকের। নমের সংগ্রহ ৮ বলে ১৬ রান।
পাওয়ার প্লে-তে মুম্বইয়ের সংগ্রহ ৭৬/২
পাওয়ার প্লে-তে মুম্বই ৭৬ রান করে ফেললেও, তারা ইশান এবং রোহিতের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে। যেটা তাদের জন্য চাপ হয়ে গিয়েছে। নমন এবং তিলককে এখন রানের গতি বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে উইকেট হারানো চলবে না তাদের। ৪ বলে ৭ রান নমনের। ৭ বলে ৪ রান তিলকের।
সাজঘরে ফিরলেন রোহিত
উপপপসসস….. দ্বিতীয় উইকেট হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সাজঘরে ফিরলেন রোহিত শর্মা। প্যাট কামিন্সের ওভারে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন রোহিত শর্মা। তাঁর সংগ্রহ ১২ বলে ২৬ রান। শুরুটা ভালো করলেও, উইকেটে টিকতে পারলেন না হিটম্যান। আর ইশানের পর রোহিতের উইকেট হারানোটা বড় ধাক্কা হল মুম্বইয়ের জন্য। রোহিতের পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার তিলক বর্মা। ৫ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭ রান মুম্বইয়ের। ৩ বলে ১ রান তিলকের। ২ বলে ২ রান নমনের।
আউট ইশান, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রোহিত
চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই প্রথম ধাক্কা খেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সাজঘরে ফিরলেন ইশান কিষান। ১৩ বলে ৩৪ রান করে শাহবাজ আহমেদের ডেলিভারিতে মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন ইশান। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নমন ধীর। এই ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট পড়তে পারত। তবে শেষ বলে রোহিতের ক্যাচ ফেলে দেন আব্দুল সামাদ। জীবনদান পান রোহিত। চার ওভার শেষে ১ উইকেটে ৫৯ রান মুম্বইয়ের। রোহিতের সংগ্রহ ১০ বলে ২০ রান। ১ বলে ১ রান করেছেন নমন।
তৃতীয় ওভারেই ৫০ পার মুম্বইয়ের
তৃতীয় ওভারেই ৫০ পার করে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই ওভারে ভুবনেশ্বরকে পিটিয়ে ২৩ রান নিলেন ইশান। তিনটি ছয়, একটি চার হাঁকালেন। ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫০ রান মুম্বইয়ের। ১১ বলে ২৮ করে ফেলেছেন ইশান। ৭ বলে ১৮ রান রোহিতের।
দ্বিতীয় ওভারে এল ১৮ রান
প্রথম ওভারে ভুবনেশ্বর ৯ রান দিলেও, দ্বিতীয় ওভারে উনাদকাটকে পিটিয়ে ১৮ রান নিলেন ইশান এবং রোহিত মিলিয়ে। এই ওভারে একটি চার মেরেছেন ইশান। আর দু’টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন রোহিত। বাকি ২ রান এসেছে সিঙ্গল থেকে। ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৭ রান মুম্বইয়ের। ৭ বলে ১৮ রান রোহিতের। ৫ বলে ৫ রান ইশানের।
মুম্বইয়ের রান তাড়া করা শুরু
মুম্বই রান তাড়া করতে নেমে পড়েছে। এমআই-এর হয়ে ওপেন করতে নেমেছেন রোহিত শর্মা এবং ইশান কিষান। জিততে হলে রেকর্ড রান তাড়া করতে হবে। যে কারণে দুই ওপেনারকে বড় স্কোর করতে হবে। ইশানকে রানে ফিরতে হবে। রোহিতকে ঝোড়ো মেজাজে লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। তা না হলে মুম্বইয়ের কপালে চাপ আছে। এদিকে হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম ওভার বল করতে এসেছেন ভুবনেশ্বর কুমার। হায়দরাবাদ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলাচ্ছেন উমরান মালিককে। ট্র্যাভিস হেডের জায়গায় তিনি খেলছেন।
সর্বোচ্চ রান, ইতিহাস লিখল হায়দরাবাদ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মার পরে, ঝড় তোলেন ক্লাসেনও। তাঁর দাপটেই নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করে হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল আরসিবি। সেই রান এদিন ছাপিয়ে গেল সানরাইজার্স। ৩৪ বলে ৮০ করে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি ছয়, চারটি চার। ২৮ বলে অপরাজিত ৪২ করেন মার্করাম। মুম্বইকে জিততে হলে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া জিততে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের ইতিহাস লিখতে হবে। প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদের ইনিংসে এদিন ১৮টি ছয় এবং ১৯টি বাউন্ডারি হয়েছে।
১৯ ওভারেই আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করে ফেলল হায়দরাবাদ
১৯ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৫৬ রান। আইপিএলের ইতিহাসে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। আইপিএলের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হাতে। তারা ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল। এটাই এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছে লখন সুপার জায়ান্টস। তারা ২০২৩ সালে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২৫৭/৫ করেছিল। এই সব রেকর্ডগুলো কি আজ ভেঙে যাবে? ক্লাসেন, মার্করাম যেভাবে খেলছে তাতে না ভাঙার কোনও কারণ নেই। ২৯ বলে ৬২ করে ফেলেছেন ক্লাসেন। ২৭ বলে ৪১ রান মার্করামের।
আইপিএলের ইতিহাসে নয়া নজির হায়দরাবাদের
এর আগে ২০১৯ সালে হায়দরাবাদ টিম হিসেবে ২ উইকেটে ২৩১ রান করেছিল। সেই রেকর্ড আজ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ভেঙে ফেলল সানরাইজার্স। তারা ১৭তম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান করে গড়ে ফেলল নয়া নজির। টিম হিসেবে তারা নিজেদের রেকর্ড ভেঙে ফেলল। ঝোড়ো মেজাজে খেলছেন হেনরিখ ক্লাসেন। ১৯ বলে ৪১ করে ফেলেছেন তিনি। ২৫ বলে ৩৯ রান মার্করামের।
২০০ পার হায়দরাবাদের
১৫ ওভারে ২০০ পার করে ফেলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এখনও হাতে ৫ ওভার বাকি রয়েছে। অর্থাৎ ৩০ বল। কোথায় থামবে হায়দরাবাদ? মুম্বইকে মারাত্মক চাপে ফেলে দিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২০২ রান সানরাইজার্সের। ২০ বলে ৩১ করেছেন মার্করাম। ১২ বলে ২৬ রান হেনরিখ ক্লাসেনের।
আউট অভিষেক
আউট হয়ে গেলেন অভিষেক শর্মা। তৃতীয় উইকেট হারাল হায়দরাবাদ। ২৩ বলে ৬৩ করে আউট হন অভিষেক। পীযূষের বলে নমন ধীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন হেনরিখ ক্লাসেন। কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ক্লাসেন ঝোড়ো মেজাজে ছিলেন। যাইহোক ১১ ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬১ রান। ৭ বলে ১৭ করে ক্রিজে রয়েছেন মার্করাম।
১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেকের, ভাঙলেন হেডের রেকর্ড
দশম ওভারে ফের রানের ফোয়ারা। এই ওভারে মাফাকাকে প্রথম চার বলে ৪-৬-৬-৪ হাঁকান অভিষেক। মোট ২০ রান আসে ওভার থেকে। ১০ ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৮ রান। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের তরুণ ব্যাটার অভিষেক শর্মা মাত্র ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি কিছুক্ষণ আগে তৈরি হওয়া হেডের রেকর্ড ভেঙে দেন। হেড ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে এদিনই হায়দরাবাদের প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির নজির গড়েছিলেন। মাঝে কয়েক ওভারের ব্যবধানেই সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন নজির গড়লেন অভিষেক। এখন সানরাইজার্সের হয়ে আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক অভিষেক শর্মা। ওভার শেষে ১৯ বলে ৫৪ রান অভিষেকের। ৫ বলে ১৩ রান মার্করামের।
আউট হলেন হেড
ঝড় তুলে হায়দরাবাদকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন ট্র্যাভিস হেড। শেষ পর্যন্ত কোয়েটজির বলে তিনি আউট হলেন। ২৪ বলে ৬২ রান করে নমন ধীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন হেড। দ্বিতীয় উইকেট হারাল সানরাইজার্স। তবে তাদের রানের গতি কিন্তু এতে কমেনি। হেডের পরিবর্তে মার্করাম ক্রিজে এসেই চার হাঁকান কোয়েটজিকে। ৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১১৭ রান হায়দরাবাদের। ১১ বলে ৩১ রান অভিষেকের। ১ বলে চার রান মার্করামের।
সপ্তম ওভারে পীযূষ দিলেন ২১ রান, ১০০ পার হায়দরাবাদের
সপ্তম ওভারে পীযূষ চাওলা বল করতে এসে ২১ রান দিয়ে বসলেন। এই ওভারে অভিষেক শর্মা তিনটি ছয় মারেন পীযূষকে। সেই সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদও ১০০ পার করে ফেলল। ৭ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০২ রান হায়দরাবাদের। ২২ বলে ৬১ রান ট্র্যাভিস হেডের। ৮ বলে ২৭ রান অভিষেক শর্মার।
পাওয়ার প্লে-তে হাদরাবাদের সংগ্রহ ৮০/১, নয়া নজির গড়লেন ট্র্যাভিস হেড
একেবারে ঝোড়ো মেজাজে রান করে চলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ষষ্ঠ ওভারে কোয়েটজিকে পিটিয়ে ২৩ রান নিলেন হেড এবং অভিষেক শর্মা মিলে। প্রথম বলটি নো করেন কোয়েটজি। ফ্রি-হিটে ছক্কা হাঁকান অভিষেক। পরের বলে তিনি ১ রান নিলে, স্ট্রাইকে আসেন হেড। এর পরের তিনটি বলে দু’টি চার এবং একটি ছয় মারেন হেড। শেষ বলে ১ রান হয়। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদ পাওয়ার প্লে-তেই বড় স্কোর করে ফেলে। ৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮১ রান। এই ওভারের চতুর্থ বলেই হেড আবার তাঁর হাফসেঞ্চুরিও পূরণ করেছেন। ১৮ বলে তিনি নিজের ঝোড়ো অর্ধশতরান পূরণ করেন। সেই সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতরান করার নজির গড়েন তিনি। ওভার শেষে হেডের সংগ্রহ ২০ বলে ৫৯ রান। ৪ বলে ৮ রান অভিষেক শর্মার।
প্রথম উইকেট হারাল হায়দরাবাদ, তবে হেড ঝড় অব্যাহত
পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়া ফেরান ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে। হার্দিকের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মিড-অনে ক্যাচ তোলেন ময়াঙ্ক। এবার আর কোনও ভুল করেননি টিম ডেভিড। ১৩ বলে ১১ করে সাজঘরে ফেরেন ময়াঙ্ক। পরিবর্তে ক্রিজে আসেন অভিষেক শর্মা। তবে উইকেট পড়লেও, হেডের ঝড় অব্যাবহত। তিনি শেষ তিন বলে তিনটি চার হাঁকান। সেই সঙ্গে ১৩ রান আসে হার্দিকের এই ওভার থেকে। চতুর্থ ওভারে বরং জসপ্রীত বুমরাহ বল করতে এসে ৫ রান দিয়ে কিছুটা রানের গতি কমিয়েছিলেন। পঞ্চম ওভারের শুরুতে উইকেট পড়লেও, রানের গতি কমেনি। এই ওভারেই ৫০ পার করে গিয়েছে সানরাইজার্স। ৫ ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৮ রান। ১৬ বলে ৪৪ রান করে ফেলেছেন হেড। অভিষেক শর্মা ১ বলে ১ রান করে ফেলেছেন।
তৃতীয় ওভারে এল ২২ রান
জীবনদান পেয়ে একেবারে বিস্ফোরক মেজাজে ট্র্যাভিস হেড। তৃতীয় ওভারে তিনি ২টি ছক্কা এবং ২টি চার হাঁকান। মোট ২২ রান এল এই ওভার থেকে। প্রথম বলটি লেগবাই হয়। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন মায়াঙ্ক। পরের চার বলে ৬-৬-৪-৪ হাঁকান ট্র্যাভিস হেড। তৃতীয় ওভার শেষেই বিনা উইকেটে ৪০ রান করে ফেলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১০ বলে ৩১ রান হেডের। ৮ বলে ৭ রান মায়াঙ্কের।
দ্বিতীয় ওভারেই জীবনদান পেলেন ট্র্যাভিস হেড
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জীবনদান পেয়ে গেলেন ট্র্যাভিস হেড। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেছিলেন হার্দিক। কিন্তু তাঁর ওভারের প্রথম বলেই ট্র্যাভিস হেডের ক্যাচ ফেলে দেন টিম ডেভিড। উল্টে সেটি চার হয়ে যায়। আর জীবনদান পেয়ে যেন অক্সিজেন পেয়ে গেলেন হেড। অজি তারকা আউট হয়ে গেলে, নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তি হত মুম্বইয়ের জন্য। এই ওভার থেকে এল মোট ১১ রান। প্রথম ওভারে মাফাকা দিয়েছিলেন ৭ রান। সেই ওভারে হেড একটি চার হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে দু’টি বাউন্ডারি হয়। ২ ওভার শেষে ১৮ রান সানরাইজার্সের। ৭ বলে ৬ রান মায়াঙ্কের। ৫ বলে ১১ রান হেডের।
খেলা শুরু
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচ শুরু হয়ে গেল। সানরাইজার্সের হয়ে ওপেন করতে নেমেছেন ট্র্যাভিস হেড এবং ময়াঙ্ক আগরওয়াল। মুম্বইয়ের হয়ে বল হাতে ওপেন করেছেন কোয়েনা মাফাকা। এই ম্যাচ জিততে মুখিয়ে দুই দলই। এখন দেখার, আজ কারা শেষ হাসি হাসে- মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নাকি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ?
দুই দলের একাদশ
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের একাদশ: ইশান কিষান (উইকেটরক্ষক), রোহিত শর্মা, নমন ধীর, তিলক বর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), টিম ডেভিড, শামস মুলানি, জেরাল্ড কোয়েটজি, পীযূষ চাওলা, জসপ্রীত বুমরাহ, কোয়েনা মাফাকা।সানরাইজার্স হায়দরাবাদের একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, ময়াঙ্ক আগরওয়াল, অভিষেক শর্মা, এডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন (উইকেটরক্ষক), আব্দুল সামাদ, শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, মায়াঙ্ক মার্কন্ডে, জয়দেব উনাদকাট।
টস জিতে বোলিং নিলেন হার্দিক
টস জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর হার্দিক পান্ডিয়া টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর টসের সময়ে এমআই অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দলে একটি পরিবর্তন করা হচ্ছে। লুক উডের চোট রয়েছে। তাই তিনি খেলতে পারবেন না। পরিবর্তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে আইপিএসে অভিষেক হতে চলেছে কোয়েনা মাফাকার। এদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের দলে দু’টি পরিবর্তন করেছে। হায়দরাবাদের অধিনায়ক, প্যাট কামিন্স জানিয়েছেন, মার্কো জানসেনের পরিবর্তে দলে ঢুকছেন ট্র্যাভিস হেড। এদিকে টি নটরাজনের হালকা চোট থাকায়, তাঁর জায়গায় জয়দেব উনাদকাট দলে এসেছেন।
রোহিতের হাতে বিশেষ জার্সি তুলে দিলেন সচিন
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ম্যাচ খেলতে চলেছেন রোহিত শর্মা। সেই সঙ্গে কোনও একটি আইপিএল দলের হয়ে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় উঠে আসবেন তিন নম্বরে। ২০১১ সালে প্রথম বার মুম্বইয়ের জার্সিতে মাঠে নামেন ভারতীয় ক্রিকেটের হিটম্যান। আর মুম্বইয়ের জার্সিতে রোহিতের ২০০ ম্যাচ খেলার মুহূর্তকে আরও বেশি স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর হাতে একটি বিশেষ জার্সি তুলে দেওয়া হল। আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সেই বিশেষ জার্সিটি তুলে দিলেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। নিজেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। সেই সঙ্গে দলও হেরেছে। আর এর পরেই তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে হার্দিককে। উল্টোদিকে আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামী প্লেয়ার প্যাট কামিন্সও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ম্যাচে জেতাতে পারেননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। যদিও হায়দরাবাদ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারতে হয় তাদের। তাই দুই অধিনায়কের কাছেই এই ম্যাচ সম্মানরক্ষার। এখনও পর্যন্ত দুই দল ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে মুম্বই জিতেছে ১২ বার, হায়দরাবাদ জিতেছে ৯বার। মোদ্দা কথা, পরিসংখ্যানে মুম্বই এগিয়ে থাকলেও, হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে তাদের হারানোটা কিন্তু খুব সহজ কাজ হবে না।
হায়দরাবাদের হকিকত
হায়দরাবাদেরও কিছু অস্বস্তির জায়গা রয়েছে। তাদের তারকা লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এখনও স্কোয়াডে যোগ দেননি এবং আশা করা হচ্ছে, অন্তত আরও এক সপ্তাহ তাঁকে পাবে না দল। কারণ তিনি তাঁর বাঁ-গোড়ালিতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার বিষয়ে বিদেশের ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। এছাড়াও সানরাইজার্সের কাছে বড় চিন্তার কারণ, মার্কো জানসেনও, যিনি কেকেআরের বিরুদ্ধে অনেক রান দিয়ে ফেলেছিলেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে সানরাইজার্স কেকেআরের বিরুদ্ধে বোলিং করার পর ফাস্ট বোলার টি নটরাজনকে অদলবদল করে এবং ওপেনার অভিষেক শর্মাকে তাড়া করার জন্য নিয়ে আসে। অভিষেক অবশ্য খুব খারাপ খেলেননি। তবে তাঁকে উইকেটে টিকে থাকতে হবে।
মুম্বইয়ে হাল
মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্টকে বল হাতে স্বস্তি দিচ্ছেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি আগুনে মেজাজেই রয়েছেন। তবে চিন্তায় রেখেছেন স্পিনার পীযূষ চাওলা এবং শামস মুলানি। মিডল ওভারে তাঁরা সংযমী না হলে, লম্বা লিগে ভুগতে হবে মুম্বইকে। পাশাপাশি সাফল্যের জন্য ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। রানের বোঝা মাথায় নিয়ে শুভমন গিলদের বিরুদ্ধে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন হার্দিক। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্ত অনেকেই বুঝতে পারছে না। কারণ, গুজরাটের হয়ে টপ অর্ডারে নেমে বহু ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। অনেকের ধারণা আবার, ওপেনার ইশান কিষান রানে ফিরলে মুম্বইয়ের সমস্যা অনেকটাই কমবে। সূর্যকুমারের না থাকাটাও একটা সমস্যা তৈরি করেছে। তবে রোহিত শর্মা এবং ব্রেভিসের ভালো ছন্দ মুম্বই শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে।
বড় রেকর্ডের সামনে রোহিত
এই ম্যাচে বড় রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোহিত। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের জার্সিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ম্যাচ খেলে ফেলবেন রোহিত। সেই সঙ্গে কোনও একটি আইপিএল দলের হয়ে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় উঠে আসবেন তিন নম্বরে। ২০১১ সালে প্রথম বার মুম্বইয়ের জার্সিতে মাঠে নামেন ভারতীয় ক্রিকেটের হিটম্যান। এর বাইরেও আরও একটি রেকর্ড তৈরির সুযোগ রয়েছে রোহিতের কাছে। নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারে মোট ৯৯টি ক্যাচ ধরেছেন তিনি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আর একটি ক্যাচ ধরলেই একশোর ক্লাবে ঢুকে পড়বেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক।
সূর্যকে পাবে না মুম্বই
চোটের কারণে এই ম্যাচেও সূর্যকুমার যাদবকে পাবে না মুম্বই। গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর স্পোর্টস হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু এখনও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি তিনি। এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ মার্চ সূর্যের ফিটনেস টেস্ট ছিল। চিকিৎসকদের মনে হয়েছে, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি তৈরি নন সূর্য। তাই তাঁকে বাইরে থাকতে হবে। কবে তিনি ফিরতে পারবেন, সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে সূর্যের দলে না থাকাটা, মুম্বইয়ের জন্য নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা হয়ে গিয়েছে।
নাইটদের কাছে লড়াই করেও হারতে হয় কামিন্সদের
গত শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রানে হেরে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে তাদের দুরন্ত লড়াই সকলের নজর কাড়ে। কিন্তু সেদিন আন্দ্রে রাসেলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পাশাপাশি শেষ ওভারে হর্ষিত রানার অবিশ্বাস্য স্পেলের সৌজন্যেই হারতে হয়েছিল প্যাট কামিন্সদের। তবে হেনরিখ ক্লাসেন রান পেয়েছেন। পাশাপাশি বল হাতে ছন্দে রয়েছেন নটরাজন। সেই ধারাবাহিকতা কাজে লাগিয়েই আজ পয়েন্টের খাতা খুলতে বদ্ধপরিকর হয়ে রয়েছে হায়দরাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি।
হার দিয়ে শুরু করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
চলতি বছরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের অধিনায়কত্বে বদল এনেছে। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করা হয়েছে। তবু ভাগ্য বদলাতে পারলেন না হার্দিক। এক যুগ ধরে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে জয় অধরা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এবার আইপিএলেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। প্রথম ম্যাচে জয়ের খরা কাটেনি মুম্বইয়ের। প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধেই আবার হেরেছে মুম্বই। যে গুজরাট ছেড়ে হার্দিক প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এমআই-এ। অর্থাৎ ২০২৪ আইপিএলের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি হার্দিকের। এখন দেখার, দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জয়ে ফেরাতে পারেন কি না হার্দিক!