[t4b-ticker]
অনলাইন ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক নৌ রুটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ঘন ঘন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনার পর ভারতীয় নৌবাহিনী উত্তর ও মধ্য আরব সাগর এবং এডেন উপসাগরে নজরদারি বাড়িয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নৌবাহিনীর এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধজাহাজ সমন্বিত নৌবাহিনীর দলগুলো সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করতে এবং যেকোনো ঘটনার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সহায়তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া নৌবাহিনী বলেছে, তারা ভারত মহাসাগরেও নতুন নিরাপত্তা ঝুঁকি পরীক্ষা করতে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

 

এনডিটিভি বলেছে, ভারতীয় উপকূলরেখা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজ এমভি কেম প্লুটোতে ড্রোন আঘাত হানার কয়েক দিন পর ভারতীয় নৌবাহিনীর এই পদক্ষেপ। আরব সাগরে জাহাজটিতে আঘাত হানার দুই দিন পর ২৬ ডিসেম্বর কোস্ট গার্ডের জাহাজ বিক্রমের সুরক্ষায় সেটি মুম্বাই বন্দরে পৌঁছেছিল। জাহাজটিতে ২০ জন ভারতীয় এবং একজন ভিয়েতনামি ক্রু সদস্য ছিলেন।

বিবৃতিতে নৌবাহিনী বলেছে, ‘গত কয়েক সপ্তাহে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং মধ্য/উত্তর আরব সাগরে আন্তর্জাতিক নৌ রুট দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে সামুদ্রিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে।

’ 

নৌবাহিনী আরো বলেছে, ‘ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ৭০০ নটিক্যাল মাইল দূরে এমভি রুয়েনের জলদস্যুতার ঘটনা এবং পোরবন্দর থেকে প্রায় ২২০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এমভি কেম প্লুটোতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা, ভারতীয় ইইজেডের (একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল) কাছাকাছি সামুদ্রিক ঘটনাগুলোর পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।’

যুদ্ধজাহাজ (ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট) ছাড়াও নৌবাহিনী মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) এবং সামুদ্রিক টহল বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। দূরপাল্লার প্যাট্রলিং যুদ্ধবিমান পি-৮১গুলোকেও ওই অঞ্চলে সচেতনতা বজায় রাখতে নিয়মিত দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা গাজার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুটে নতুন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘোষণা দিয়েছে।

এর মধ্যেই এমভি কেম প্লুটোতে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। 

পেন্টাগন দাবি করেছে, ট্যাংকার জাহাজটিকে ‘ইরান থেকে ছোড়া ড্রোন’ দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তেহরান সমর্থিত গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো পেন্টাগন প্রকাশ্যে ইরানকে সরাসরি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুর জন্য অভিযুক্ত করেছে।