অনলাইন ডেস্ক:
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী স্থলভাগ দিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ধীরে ধীরে গাজার ভেতরে ঢুকছিল। হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের লাগাতার লড়াইও হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, তারা গাজা সিটি ঘিরে ফেলেছেন। ধীরে ধীরে শহরের ভেতরেও ঢুকতে শুরু করেছে সেনারা।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পথে হামাসের সমস্ত ঘাঁটি এবং সামরিক কাঠামো ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। বেসামরিক অঞ্চলেও হামাসের সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ আবেদন জানিয়েছে, মানবিক সাহায্য পাঠানোর সময় যেন দুই পক্ষই লড়াই বন্ধ রাখে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত চারটি আশ্রয়শিবির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবির হামলায় এ পর্যন্ত ২০জন বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করছেন। তিনি গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ জানতে চেয়েছেন।
গাজায় অবস্থানরত বিবিসির সাংবাদিক রুশদি আবু আলৌফ জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে গাজা সিটি এবং উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি ভিন্ন এলাকায় লড়াই চলছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথ থেকে গুলিবর্ষণ করছে।
হামাস গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।