[t4b-ticker]
ট্রাক পোড়ানো মামলায় বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি-জামায়াতের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মহাসড়কে পেট্রল ঢেলে দুটি ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে খোকন (৩৭), একই ইউনিয়নের জোয়ানপুর উত্তরপাড়া গ্রামের জামায়াতের কর্মী শহিদুল ইসলাম (৪৫), খামারকান্দি ইউনিয়নের হাটখোলা গ্রামের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে খোকা (৪৫), বিশালপুর ইউনিয়নের পানিসারা নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপির কর্মী রেজাউল করিম (৪৩) এবং সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সেনবামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপির কর্মী আলী রেজওয়ান (৬০)।

শেরপুর থানার এসআই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামি হিসেবে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। আসামিদের বেশিরভাগই বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানার এসআই রামজীবন ভৌমিক বলেন, ট্রাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা স্থানীয়ভাবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ওই দুই ট্রাকের অন্তত চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কেউ জড়িত নন। পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তাঁদের দ্রুত মুক্তির দাবি করেন এই নেতা।

উল্লেখ্য, সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের দশমাইল এলাকায় দুর্বৃত্তরা ঢাকা ও সিলেটগামী পণ্যবাহী দুটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।