লাকী আক্তার :
দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর ও চাদনীঘাট এলাকা থেকে পৃথক পৃথক অভিযানে জুয়া খেলার সামগ্রীসহ ২২ জুয়ারিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের এ অভিযানে জুয়ারিদের আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন হুমায়ুন রশিদ চত্বরের পাশে চাঁন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনের জুয়ার বোর্ডে অভিযান চালিয়ে ১০ জুয়ারিকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের মোগলাবাজার থানার আব্দুল মতিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৪), একই থানা মৃত ইজার আলী মো. ইয়ারুফ আলী (২৮), মৌলভীবাজার সদর থানার মৃত সুধীর দাশের ছেলে সুজিত দাশ(৪০), গোয়াইনঘাট থানার ময়না মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (২৮), সুনামগঞ্জের বিশম্বরপুর থানার মৃত আবুল কালাম ছেলে রাসেল আহমেদ(২১), সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার আব্দুল আহাদের ছেলে শামীম আহমদ (২৮), মোগলাবাজার থানার বোরহান উদ্দিনের ছেলে আবু সাইদ (১৯), সুনামগঞ্জের বিশম্বরপুর থানার আবু বক্করের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৯), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার মৃত বশির মিয়া ছেলে সুমন আহমেদ (৩০) ও জকিগঞ্জ থানার মইয়ব আলীর ছেলে কুতুব উদ্দিন (৩০)। একই দিন বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষিণ সুরমা থানাধীন চাদনীঘাটের হোটেল মারজানের সামনের জুয়ার বোর্ডে অভিযান চালিয়ে আরও ১২ জুয়ারিকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন- রুপন তালুকদার (৩৪), মাহাবুব আলম বাপন (৩০), হাসান আহমদ (২৪), আলমগীর মিয়া(৩৩), মানিক মাসুক (৩০), মাজেদ আহমেদ(২৫), সাদ্দাম হোসেন (৩৪), রিপন আহমেদ (২৮), শাকিল (২৬), মোকররম আলী (৩৪), গৃথীরাজ রায় (৪৫) ও সানি (২০)। গ্রেফতারকৃত আসামিদের পুলিশ আইন, ২০০৯ এর ৯৫ মোতাবেক পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের সিলেট মহানগরী পুলিশ আইন, ২০০৯ এর ৯৫ মোতাবেক পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কিছুদিন আগে প্রথম বাংলা নিউজ, তালাশ টিভি. লাইভ, সুরমামেইল . কম, সাপ্তাহিক হলি সিলেট সহ জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন, প্রিন্টে জুয়ারিদের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণ সুরমার এবং বেশ আগে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার জুয়ার আস্তানা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরেই নড়ে-ছড়ে বসে মহানগর পুলিশ প্রশাসন।