রিজভী বলেন, আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড, জার্মানির কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের অত্যাচারের কাহিনীকেও হার মানায়। রিমান্ডে নিয়ে যেভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘রিমান্ডে নির্যাতন করে কোনো নেতাকর্মীর মিথ্যা সাক্ষ্য আদায়ের চেষ্টা চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের নিপীড়ন-নির্যাতন, হেনস্তা ও হেয় করেও এদের তটস্থ করতে না পেরে উতপীড়নের পথ অবলম্বন করেছে এই অবৈধ সরকার। সরকার আইন প্রয়োগকারী র্যাব-পুলিশকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলের নীতি-নৈতিকতার অধঃপতনের দিকে ঠেলে এক সুগভীর নীল-নকশা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, এসব করে শেখ হাসিনার কোনো লাভ হবে না। এই উৎপীড়নের পথ, নিপীড়নের পথ, নির্যাতনের পথ অবলম্বন করে অথবা লোভ-প্রলোভন দেখিয়ে তিনি তাঁর অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করবেন, সম্প্রসারিত করবেন এই সুযোগ এবার তাঁর হবে না। সকল সুযোগ তাঁর বন্ধ হয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, ক্রেতাদের মতামত উপেক্ষা করে সরকার সমর্থক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী শোষণ নীতির পক্ষে সরকারের অবস্থান, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী দমনে হত্যা নিষ্পেষন, অপিরনামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং প্রতিবেশী দেশের স্বার্থে এই সর্ববৃহৎ শিল্প (পোশাক) ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেওয়া হয়েছে। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রায় অবধারিত বলে আশংকা করছেন মালিকরা। গতকাল পোশাক খাতে আতংকের বিষয়টি মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। ইতোমধ্যে এ খাত ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ব্যবসা হারিয়েছে।
রিজভী বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি একতরফা নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে, বিপর্যস্ত করবে। দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। এই পাতানো নির্বাচন কেবল বয়কট নয় গণপ্রতিরোধের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৪১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ১৯ মামলায় ২ হাজার ৪৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।