[t4b-ticker]
অনলাইন ডেস্ক:

এজাহারে নাম থাকার পরও গ্রেপ্তার না দেখানো নাশকতার নয় মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানি ৯ জানুয়ারি।  রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরী মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ করে শুনানির এ তারিখ দেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে। ১০ মামলার মধ্যে ৮ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম রয়েছে।

আর দুই মামলায় তিনি সন্দেহভাজন। 

কিন্তু তাঁকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৩ অক্টোবর ১০ মামলায় তাঁর জামিন চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করা হয়। কিন্তু সিএমএম আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে জামিন আবেদন রেখে দেন।

এ অবস্থায় পরদিন সিএমএম আদালতের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। 

গত ১৭ ডিসেম্বর এ রিটে প্রাথমিক শুনানির পর নাশকতার নয় মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএম-কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানার এক মামলায় মির্জা ফখরুলকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী। এ মামলায় মির্জা ফখরুলকে গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

 

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল (শনিবার) নয় মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। আজ ঢাকার সিএমএম জামিন আবেদন গ্রহণ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি এ দিন ধার্য করেছেন।’

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগের মামরায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।