[t4b-ticker]

অনলাইন ডেস্ক: 

পাকিস্তানে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় দুদিন পর সব আসনের ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি।

 

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি। এতে সর্বোচ্চ ১০৪টি আসন পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৫টি। নওয়াজ শরিফের পিএমএমএল-এন ৭৪টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি। তারা পেয়েছে ৫৪টি আসন। বাকি আসনগুলো অন্যরা পেয়েছেন। এ ছাড়া একটি আসনের প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ায় ওই আসনে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭ হাজারের বেশি প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের ভোটেই নির্ধারিত হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন।

 

প্রথম দিকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পরও অধিকাংশ কেন্দ্রে ফল ঘোষণা শুরু হয়নি। ভোট গণনায় এমন বিলম্বকে অস্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনের পর দিন শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত মাত্র ১২টি আসনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন আসন থেকে ফল আসতে থাকে। তবে বেলা গড়িয়ে রাত পার হলেও সব আসনের আসনের ফল ঘোষণা করা হয়নি। অবশেষে শুক্রবার দুপুর নাগাদ ফল ঘোষণায় ইতি টানল নির্বাচন কমিশন।

 

ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও জোট করে সরকার গঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছে নওয়াজের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়ালের পিপিপি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একমত হয়েছে দল দুটি। তবে এতকিছুর পরও এবারের নির্বাচনে চমক দেখানো পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দিকে সবার চোখ। ইতোমধ্যে তারা একটি দলের পক্ষ থেকে জোট সরকার গঠনের দাওয়াত পেয়েছেন। জোট ভাঙা-গড়ার খেলায় শেষ মুর্হূতে তারা কোনো অঘটন ঘটাতে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা করছেন সাধারণ মানুষ।