অনলাইন ডেস্কঃ
ফ্রান্সে পার্লামেন্টারি নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার (৩০ জুন) জাতীয় পরিষদের ৫৭৭ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে ভোট দিচ্ছেন দেশটির জনগণ। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কেন্দ্রে থাকা দেশটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কট্টর ডানপন্থী সরকারের সূচনা হতে পারে। খবর রয়টার্সের।
রবিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে ভোট। তবে প্যারিস এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে ভোটকেন্দ্রগুলো রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জুলাই।
ফান্সে গত ২২ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হচ্ছে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন।
চলতি মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে খারাপ ফলের কারণে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিষয়টি ফ্রান্সের অনেককে হতবাক করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
কূটনীতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বিষয়ক সংস্থা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপিয়ান পার্সপেক্টিভ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান ইমানুয়েল ডুপুই বলেন, এ নির্বাচন ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থায় একটি নতুন পদ্ধতির সূচনা এবং প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সমাপ্তি টানবে। ম্যাক্রোনিজম ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে এবং এ নির্বাচন দিয়ে তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে।
ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসন আছে। প্রতিটি নির্বাচনি জেলার জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। বিদায়ী সরকারে ম্যাক্রোঁর জোটের আসন ছিল মাত্র ২৫০টি। ফলে আইন পাসের জন্য অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হতো তাদের।
৫৭৭ আসনের যেকোনো একটিতে নির্বাচিত হতে হলে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমপক্ষে ২৫ শতাংশ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। ফ্রান্সের মতো একটি বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায়, কোনো প্রার্থীই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়াবে। এক্ষেত্রে আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে৷ প্রথম রাউন্ডে কমপক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রার্থীরাই কেবল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নিতে পারবেন।
Shuvo