অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতির পরিমাণ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রথমে ১৫ লাখ টাকার পর সোমবার আরও ১০ লাখ টাকার পাশাপাশি ৩০০ টন চাল দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে পাওয়া তথ্যমতে, এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চলমান। তবে এ পর্যন্ত জেলার ৯৫টি উপজেলা ও সিটি করপোরেশন মিলে ৩ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ জন। দুই হাজার ৪৬৭টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতির পাশাপাশি ২৫৫টি বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে, যার ক্ষতি নিরূপণ করতে আরও দুদিন সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকেই যেন ত্রাণ সহায়তা পায়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে চার ধরে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বরিশাল নদী বন্দরের জন্য দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় লঞ্চ চলাচল করছে না। আবহাওয়ার সংকেত পরিবর্তন হলে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হবে।