[t4b-ticker]
বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর টিপস

অনলাইন ডেস্কঃ

বাইক একজন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই বাইকের মাইলেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্বালানি তেলের দাম যত বাড়ে রাইডাররা তত বেশি মুশকিলে পড়েন। তবে বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর কিছুটা উপায় রয়েছে ব্যবহারকারীর হাতেই। বাইক চালানোর সময় ছোট ভুলগুলো কমিয়ে দিলেই বাড়বে মাইলেজ।

এ ক্ষেত্রে কী করবেন চলুন জেনে নিই

গিয়ারের সঠিক ব্যবহার শুধু মাইলেজই বাড়ায় না, রাইডিংকে নিরাপদ ও আনন্দময় করে তোলে। বাইকের গিয়ার সঠিক উপায়ে ব্যবহার করলে বাড়ে মাইলেজ। তবে তার জন্য বাইকের গিয়ার ব্যবহারের সঠিক উপায় জানা প্রয়োজন।

ক্লাচের সঠিক ব্যবহার : গিয়ার পরিবর্তন করার সময় ক্লাচ সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা উচিত। অর্ধেক ক্লাচ চেপে গিয়ার পরিবর্তন করলে ক্ষতি হতে পারে। গিয়ার বদলানোর আগে, ক্লাচ পুরো চেপে গিয়ার বদলান। তারপরে ধীরে ধীরে গিয়ার ছেড়ে দিন।

সঠিক গিয়ার নির্বাচন : গতি অনুযায়ী গিয়ার নির্বাচন করতে হবে। খুব কম আরপিএম-এ উচ্চ গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিনের ওপর চাপ পড়ে এবং মাইলেজ কমে যায়। অন্যদিকে খুব বেশি আরপিএম-এ নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তরিত করলেও ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় । যার ফলে গাড়ি বেশি ঘষা খায়। তাই সেই ক্ষেত্রেও মাইলেজ কমে।

গিয়ার পরিবর্তনের সময় : দ্রুত গতি বাড়াতে নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তর করা উচিত। গতি কমাতে উচ্চ গিয়ারে যাওয়া উচিত। সমতল রাস্তায় গাড়ি চালালে, প্রায় ২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে দ্বিতীয় গিয়ার, ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে তৃতীয় গিয়ার এবং ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চতুর্থ গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।

আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত যে, গিয়ার পরিবর্তন করার সময় এক্সিলারেটর চাপা উচিত। হঠাৎ গিয়ার পরিবর্তন করাও উচিত নয়। ঢালু রাস্তায় কম গিয়ারে বাইক চালাতে হবে। আর লাল আলোতে নিউট্রাল গিয়ারে রাখতে হবে।

প্রতিনিয়ত বাইক সার্ভিসিং করা উচিত। প্রয়োজনে ক্লাচ, গিয়ার এবং এক্সিলারেটরের তার বদলাতে হবে। সঠিক টায়ার ব্যবহার করতে হবে।

***আরাফাত