জ্যোতির্বিজ্ঞানে এডউইন হাবলের দ্বিতীয় বৃহৎ অবদান ছিল মিল্কিওয়ের বাইরে নক্ষত্রের অনুসন্ধান। অর্থাৎ, মহাবিশ্ব মিল্কিওয়েয় আটকে নেই। এর সম্প্রসারণ চলছে নিয়মিত। মহাবিশ্বের শূন্যে সকল ছায়াপথ একে অপর থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।
ত্বরিত সম্প্রসারণে আমরা বিকিরণ, সাধারণ মহাজাগতিক বস্তু ও ডার্ক ম্যাটারও দেখতে পাই। দৃষ্টিসীমার বাইরে যে আরও অনেক বিষয় রয়েছে—কোনো সন্দেহ নেই।
ছায়াপথের গতি, প্রকৃতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে। স্থির নেই এই গতি কিংবা আকৃতি।
পরিমণ্ডল
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের হার ‘হাবল ধ্রুবক’ নামে পরিচিত। যা ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ছিল অনিশ্চিত। দায় ছিল দুটো নিয়ামক বা ফ্যাকটরের। যখন কাছাকাছি ছায়াপথগুলোতে পৃথক নক্ষত্রের দেখা পেলেন তখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাবল ধ্রুবক পরিমাপ করতে সক্ষম হন। কয়েক শতাংশ-সহ নির্ভুল মান দেয় এই ধ্রুবক। দূরবর্তী মহাজাগতিক বস্তুর আলোর স্থানান্তর চিহ্ন পাঠায়— মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল।
সম্পর্কিত বিষয়
অনান্য ছায়াপথ যতো
বিগ ব্যাং
বিজ্ঞানী
সল পার্লমুটার
১৯৫৯-বর্তমান।
মার্কিন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি, শ্মিট এবং রিস দেখিয়েছিলেন যে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ দ্রুত হচ্ছে।
ব্রায়ান শ্মিট
১৯৬৭-বর্তমান
মার্কিন-অস্ট্রেলিয়ান জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী।
অ্যাডাম রিস
১৯৬৯-বর্তমান
মার্কিন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী।
বর্ণনা
অ্যান্ডি ফ্যাবিয়ান।