[t4b-ticker]
অনলাইন ডেস্কঃ

জ্যোতির্বিজ্ঞানে এডউইন হাবলের দ্বিতীয় বৃহৎ অবদান ছিল মিল্কিওয়ের বাইরে নক্ষত্রের অনুসন্ধান। অর্থাৎ, মহাবিশ্ব মিল্কিওয়েয় আটকে নেই। এর সম্প্রসারণ চলছে নিয়মিত। মহাবিশ্বের শূন্যে সকল ছায়াপথ একে অপর থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।

আগেই যেগুলো ‘দূরে’ ছিল সেগুলো চলে যাচ্ছে দৃষ্টিসীমার বাইরে। মহাকাশের আলাদা আলদা মহাজাগতিক বস্তুগুলোর কাঠামো প্রসারিত হয়ে একে অপরকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে—মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ যে ঘটছে এটিই মূল প্রমাণ। সময়ের সাথে এই প্রসারণকে অবলম্বন করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিস্ফোরণ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ১৩.৭ বিলিয়ন বছর বয়স নির্ধারণ করেছেন। কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ডে কাঠামোর আকার ও ছায়াপথগুচ্ছের বিষয়বস্তুও কিছু তথ্য জানিয়েছে।
এগুলো বিগত ৬ বিলিয়ন বছরে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার বৃদ্ধির কথা জানান দিচ্ছে। দূরবর্তী ছায়াপথগুলোতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ এই তথ্য দেয়। 

ত্বরিত সম্প্রসারণে আমরা বিকিরণ, সাধারণ মহাজাগতিক বস্তু ও ডার্ক ম্যাটারও দেখতে পাই। দৃষ্টিসীমার বাইরে যে আরও অনেক বিষয় রয়েছে—কোনো সন্দেহ নেই।

দেখা যায় না এমন কোনও শক্তির বাধা বা ধাক্কা ‘ডার্ক এনার্জি’ বা অজানা অদৃশ্য এক শক্তির আভাস দেয়। ধারণা করা হয় এর পরিমাণ মহাজাগতিক সামগ্রিক বস্তুর তিন-চতুর্থাংশ হবে। এর প্রকৃত প্রকৃতি বা অবস্থা নির্ণয় করতে পারলে কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে কী ঘটবে তা জানতে পারব। মহাবিশ্বের শেষ অধ্যায়ে কী রয়েছে! বিগ চিল না বিগ রিপ! 

ছায়াপথের গতি, প্রকৃতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে। স্থির নেই এই গতি কিংবা আকৃতি।

 

পরিমণ্ডল
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের হার ‘হাবল ধ্রুবক’ নামে পরিচিত। যা ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ছিল অনিশ্চিত। দায় ছিল দুটো নিয়ামক বা ফ্যাকটরের। যখন কাছাকাছি ছায়াপথগুলোতে পৃথক নক্ষত্রের দেখা পেলেন তখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাবল ধ্রুবক পরিমাপ করতে সক্ষম হন। কয়েক শতাংশ-সহ নির্ভুল মান দেয় এই ধ্রুবক। দূরবর্তী মহাজাগতিক বস্তুর আলোর স্থানান্তর চিহ্ন পাঠায়— মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল।

সম্পর্কিত বিষয়
অনান্য ছায়াপথ যতো
বিগ ব্যাং

বিজ্ঞানী
সল পার্লমুটার
১৯৫৯-বর্তমান।
মার্কিন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি, শ্মিট এবং রিস দেখিয়েছিলেন যে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ দ্রুত হচ্ছে।

ব্রায়ান শ্মিট
১৯৬৭-বর্তমান
মার্কিন-অস্ট্রেলিয়ান জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী।

অ্যাডাম রিস
১৯৬৯-বর্তমান
মার্কিন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী।

বর্ণনা
অ্যান্ডি ফ্যাবিয়ান।