[t4b-ticker]

ফারহানা বেগমঃ

রাত পোয়ালেই পবিত্র ঈদুল আজহা । সেই হিসাবে হাতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়। এই সময়ে এসে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কেনাকাটা হচ্ছে বটে, তবে তা খুব একটা সন্তোষজনক বলে মনে করছেন না ক্রেতা বিক্রেতা কেউ-ই। 

এদিকে শেষ মুহুর্তে  এসে সিলেটে আর বৈধ-অবৈধ চেনার উপায় নেই, চারদিকে কেবলই পশুর হাট। এবার সিটি কর্পোরেশন অনুমোদিত ৮টি পশুর হাট থাকলেও নগরজুড়ে হাটের সংখ্যা অন্তত ৮০টির বেশী বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এবার হাটের সংখ্যা বাড়লেও শনিবার পর্যন্ত দাম চড়া-ই ছিল। তবে বাজারে পশুর সংখ্যা পর্যাপ্ত। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি হলেও ছাগল এবং ভেড়ার চাহিদাও আছে। হাটে দেশি গরুর আধিক্য হলেও ভারতীয় গরুর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

শনিবার সরজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরাবরের মতো এবারও চড়া দামের অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। বাজারে বড় গরুর দাম লাখ টাকার উপরে। তবে ৬০/৭০ হাজারের নিচে গরু মিলছেনা। ছাগলের দাম ১০ হাজারের উপরে। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরু সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর কাজিরবাজার হাটে কথা হয় ক্রেতা সজিব খানের সঙ্গে। তিনি জানালেন এখনো কেনা হয়নি। দাম পড়ার অপেক্ষায়  আছেন।

নগরীর কানিশাইল, সুবিদবাজার, মীরের চক, মুরাদপুর, দক্ষিণ সুরমা, পাঠানটুলাসহ বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে প্রচুর অবৈধ পশুর হাট বসানো হয়েছে।

টিলাগড় পয়েন্টে  অস্থায়ী হাটের ইজারা দেয়া হলেও এমসি কলেজ গেইট ছাড়িয়ে সরকারি কলেজ গেইট পর্যন্ত চলছে পশুর হাট। নগরীর শিবগঞ্জ থেকে মেজরটিলা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে শুধু গরু আর গরু। এ রাস্তায় যানজটে জনভোগান্তি এখন চরমে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অবৈধ হাট বসলে এবং পুলিশকে জানালে সাথে সাথে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। তবে তারা আবারও বসে পড়ে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা ৮টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছি। এর বাইরে হাট বসলে পুলিশ দেখবে।