[t4b-ticker]

অনলাইন ডের্স্ক

১৬৮ জনের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪১ জন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ৮৯ জন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২ জন মুক্তি পাবেন। এছাড়া আরও ১০ জামিননামা কারাকর্তৃপক্ষ হাতে পেয়েছেন বলে জানা যায়।

কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স-ঢাকা বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৬৮ জনের জামিননামা পেয়েছি আমরা। আজ যেকোনো সময় তারা কারামুক্ত হবেন।

এর আগে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আদালতে গত ১৯ জানুয়ারি এই মামলায় আসামিদের জামিন শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদেশে আদালত বলেন, যারা এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত বা হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন এবং খালাসের আদেশের পর যাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেননি, তাদের জামিন মঞ্জুর করা হলো।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলায় আসামি ৮৩৪ জন। হত্যা মামলার সঙ্গে এর বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেনি। এক পর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত করে দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এ কারণে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।

 

তারেক আহমদ জিছান