নিজস্ব প্রতিবদেক :
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং জিরো পয়েন্ট সীমান্ত দিয়ে দিনের আলোতে প্রকাশ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে অবৈধ ভারতীয় পণ্য। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লাইনম্যান পরিচয়দানকারী স্থানীয় চোরাকারবারি হযরত আলী এবং ইবু বাহিনী।
বিজিবির নামে মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য ও মাদকের চালান অনেকটাই সহজে প্রবেশ করছে ‘আলী – ইবু’র নেতৃত্বে। এদের বেপরোয়া নেতৃত্বেই চলছে চোরাকারবারীদের রমরমা চোরাই ব্যবসা। সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার হযরত আলী ও ইবু বাহিনী প্রশাসনের কোনো তোয়াক্ষা করেন না বলেই এমন ভাবেই চলছে সীমান্ত চোরাচালান । নিজেরা প্রায় কোনো বাধা ছাড়াই ভুঙ্গার ব্যবসা দেদারছে করে যাচ্ছে অন্যদের দিয়েও ভুঙ্গার ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আলী ইতোমধ্যে বনে গেছেন অবৈধ চোরাকারবারীদের স্বঘোষিত গডফাদার। চোরাকারবারীদের মূল হোতা আলী হচ্ছে সর্বেসর্বা। আইনের হাত থেকে তার হাত বড়। এই গড়ফাদারকে আইনের আওতায় আনা না গেলেও আইনকে তিনি সুকৌশলে নিয়েন্ত্রণ করছেন।
জাফলং জিরো পয়েন্ট ১২৭৩ পিলার হতে- ১২৭৩:এস ৫ পাইপ পিলার দিয়ে সুযোগ-সুবিধা ভালো থাকায় জাফলং জিরো পয়েন্ট দিয়ে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের সুযোগে ভারত থেকে মাল নিয়ে আসছে।
তাই হযরত আলী এবং ইবু বিজিবিকে ম্যানেজ করে দিনে-রাতে প্রকাশ্যে নিজেরা ব্যবসা করছে আবার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। ফলে অহরহ ভারত থেকে বাংলাদেশে নিরাপদে আসছে নেশা জাতীয় মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, চিনি, চা পাতা, কসমেটিক্স, শাড়ি, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, পান-সুপারি, জিরা, এলাচি, ডালচিনি, লং, গুলমরিচ।
জাফলং জিরো পয়েন্টে হযরত আলী ও ইবুর নিজেদের দোকান রয়েছে। সেই সুযোগ নিজেরাও ব্যবসা করেন, আবার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে চাঁদাও আদায় করেন। মাঝে-মধ্যে নামে মাত্র লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করিয়ে প্রশাসনের উপর মহলকে দেখান।
এ ব্যাপারে জানতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুঙ্গার ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা বিজিবির লাইনম্যান হযরত আলী ও ইবুর মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা করছি। এ জন্য আমরা তাদের মোটা অংকের টাকা দেই’
অনুসন্ধানে জানা যায়- জাফলং জিরো পয়েন্ট দিয়ে ব্যবসা করতে সুযোগ সুবিধা ভালো এবং নৌপথে খুবই সহজ কোনো সমস্যা নেই।
জিরো পয়েন্ট মসজিদের উত্তর দিকে মার্কেটের প্রায় প্রতিটি গোডাউনে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি, চা পাতা, কসমেটিক্স, শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। গোদামে জমাকৃত এই অবৈধ পণ্য সুবিধা মতো মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ডিআই পিকআপ ও নৌপথে পাচার করা হয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কয়েক দফা বিজিবির সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডারের সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায় নি।