অন্য বাচ্চাদের মতো খেলাধুলায় তেমন আগ্রহ নেই এই শিশুটির। সকাল-বিকেল অন্য শিশুরা যখন খেলনার সরঞ্জাম নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত, ঠিক তখন পবিত্র কোরআন নিয়ে পড়তে বসে ৮ বছরের শিশু সাফায়েত মুকতাদির প্রান্ত।
কঠোর অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের বিনিময়ে মাত্র ১৬৫ দিনেই তিনি মুখস্থ করেছেন কোরআন, যা রীতিমতো অবাক করেছে শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদের।
বিস্ময়কর এই শিশুটি ঢাকার মিরপুরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসার’ হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা মোহাম্মাদ মুকুল হোসেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ।
সাফায়েত মুকতাদির প্রান্ত বলেন, আমার কোরআন মুখস্ত করতে ১৬৫ দিন লেগেছে। আমি অনেক চেষ্টা করেছি এবং আমাদের হুজুরও অনেক পরিশ্রম করেছেন। মা-বাবা ও শিক্ষকদের দোয়ায় এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
মুকতাদির প্রান্তের শিক্ষক আন্তর্জাতিক হাফেজ কারি ফরহাদ বিন নাসেরী বলেন, আল কোরআনের অলৌকিক শক্তিতে এমন ঘটনা বিশ্বে প্রায়ই ঘটছে। তারই একটি সাক্ষী বাংলাদেশের এই শিশুটি। সে আমাদের কাছে প্লে থেকে পড়তেছে। তাকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তার সবই সে পালন করেছে।
ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মামুনুর রশীদ বলেন, সাফায়েত আমাদের কাছে সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে পড়াশোনা করছে। মাত্র ৫ মাসে (১৬৫ দিনে) সে কোরআনে হাফেজ হয়েছে। সে যখন হিফজ শুরু করেছে প্রথম থেকেই ২ পৃষ্ঠা করে সবক দিত। শেষের দিকে দিনে ১০-১৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত সবক দিয়েছেন, যা অলৌকিক ব্যাপার।
প্রান্তের বাবা ও তার মা আশা করেন, তাদের ছোট্ট সন্তান একদিন বিশ্বসেরা বড় আলেম হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বরং এর পেছনে রয়েছে শিক্ষক থেকে শুরু করে বাবা-মায়ের অনেক চেষ্টা শ্রম ও আত্মত্যাগ।
রেফাঃ প