[t4b-ticker]

আব্দুল আজিজ (লয়লু) :

না, তিনি কোন পদক চান না। কবি হেলাল হাফিজ পুরোটা জীবন কবিতা নির্মাণ করতে গিয়ে নিজের ঘর-সংসার কিছুই করেন নি।আজ তিনি বড্ড ক্লান্ত। গ্লুকোমায় বাম চোখটা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে, বাকিটাও শেষের দিকে।
একটি হোটেলে থাকেন। বর্তমানে ডায়াবেটিস সহ নানান অসুখ শরীরে বাসা বেঁধেছে, হাঁটতে পারেন না, শরীর কাঁপে। উনার দ্বিতীয় গৃহ জাতীয় প্রেসক্লাব,
সেখানে যেতে খুব ইচ্ছে করে কিন্তু কে নিয়ে যাবে! এসব বিষয় নিয়ে আমাকে বলেছেন। প্রায় একযুগ আগে মিডিয়ায় অনেক লেখালেখির পর বাংলা একাডেমি তাঁকে পুরস্কার দিয়েছিল, সেই টাকাটা দিয়ে চোখের চিকিৎসাটা চলছিল, অথচ ১৯৬৯ গন অভ্যুত্থানে তার সেই অমর কবিতা ” নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় ” ” এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ”
তৎকালীন স্বাধীনতাকামী বাঙালি হৃদয়ে কী ভিষণ টংকার তুলেছিল! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো দেয়াল ঐ দুই পঙক্তিতে ছেয়ে গিয়েছিল। সেই কবি আজ মৃত্যুপথ যাত্রী, জীবন কে আর বহন করতে পারছেন না। একুশে পদক উনি পান নি, এ ব্যাপারে তাঁর কোন আক্ষেপও নেই কিন্তু কবি কে যারা ভালবাসে,তাঁর কবিতায় যারা এখনও কাব্যস্নান করেন, তাদের আক্ষেপ থেকে গেছে।তাই তিনি লিখেছেন ” হলো না,
না হোক, আমি কী এমন লোক!
আমার হলো না তাতে কী হয়েছে
তোমাদের হোক। ” ( সুন্দরের গান, হেলাল হাফিজ)