তামিম আহমেদঃ
সিলেটে জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অবস্থিত মোগলাবাজার থানাধীন রিজেন্ট পার্কে স্কুল কলেজের ছাত্রীদেরকে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে আটক করেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রিসোর্টিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে ও কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেন। সূত্রমতে, রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রিজেন্ট পার্ক রিসোর্ট ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের আটক করেন দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকাবাসী। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের জিম্মায় আটজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি আটজনকে স্থানীয় কাজী ডেকে বিভিন্ন পরিমাণের দেনমোহর ঠিক করে বিয়ে দিয়ে দেন এলাকাবাসী।
বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। বিবাহিতদের মধ্যে তিনজনের ১০ লাখ এবং একজনকে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ে দেওয়া চার যুগলের মধ্যে হলো—সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও ওসমানী নগর উপজেলা বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টে উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এটা নামে পার্ক হলেও এখানে তরুণ—তরুণীরা অবৈধ মেলামেশায় সর্বদা লিপ্ত থাকেন। এলাকাবাসী জানান, এখানে স্কুল—কলেজের ছাত্র—ছাত্রী ও প্রেমিক—প্রেমিকারা রুম ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন।
উক্ত ঘটনায় রোববার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পার্কে হানা দিয়ে যুবক—যুবতীদের কক্ষের ভিতেরেই আটক করেন। এই ঘটনার খবর উক্ত এলাকাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সেখানে উপস্থিত হন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি আবেদ রাজা, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম মাসুম, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমদ ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরে উক্ত এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল বলেন, আমরা খবর পেয়ে মুরব্বিয়ানদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এনে আটজনকে বিয়ে পড়িয়ে দেই এবং বাকিদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেই। এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের মোগলাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তিনি বিয়ের বিষয় সম্পর্কে জানেন না বলে জানান।