ভোলায় ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৭৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে ৭টি কন্ট্রোল রুম।
প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীদের। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের অ্যালার্ট করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় তিন ধাপের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যার অংশ হিসেবে চলছে প্রথম ধাপের প্রস্তুতি। উপকূলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ভোলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ আখতার হোসেন বলেন, নদী এবং উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আমরা প্রচারণা শুরু করেছি, মানুষজন সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষীপুরসহ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিটিএ।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাহাবুদ্দিন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।