[t4b-ticker]

অনলাইন ডেস্ক:

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘কক্সবাজারে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়ে আরো বেশি। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য সরকার জনগণের পাশে রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: জামায়াতকে ২৮ তারিখ  সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না : ডিএমপি

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, নুনিয়ারছড়া ও সদরের খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ ও ঢেউটিন উপহার দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

ডা. এনামুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে জেলায় এখনো অচলাবস্থা চলছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৯ উপজেলার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৪২ হাজার ৯৫৯টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৫ হাজার ১০৫ এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়ি। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।

আরো পড়ুন : ফিলিস্তিনের সমর্থনে স্টেডিয়ামে উপচে পড়া ভিড়

 

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার।

এছাড়াও ৪৯৬টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে, প্রায় ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যে কারণে এখনো মহেশখালী কুতুবদিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটসেবা চালু করা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ টাকা ও ঢেউটিন বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।