[t4b-ticker]

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রায় ১ হাজার ৪০০ মাইল দূর থেকেই ইসরাইলে হামলা চালিয়ে তাক লাগিয়েছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। ইহুদিদের ভূখণ্ডে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়ে নিজেদের সামরিক সক্ষমতার জানান দিয়েছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি।

 

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে সম্প্রতি ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিপুল ব্যালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন ছুড়েছে হুতি সদস্যরা। এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তাদের দূরপাল্লার সমরাস্ত্রের সক্ষমতা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ইসরাইল ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের। প্রায় ১ হাজার ৪০০ মাইল দূর থেকে ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে এসব মিসাইল।

 

হুতিদের সমরাস্ত্র ভাণ্ডার কতটা শক্তিশালী সে বিষয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ না করলেও, তাদের সামরিক শক্তি আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাণ্ডারের বেশিরভাগ সমরাস্ত্রই ইরানের দেয়া। ওমান, আরব সাগর ও লোহিত সাগর হয়ে তেহরান থেকে হুতিদের হাতে পৌঁছায় এসব অস্ত্র।

পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ইরানের তৈরি কিয়াম ওয়ান ও টু, ফাতেহ- ১১০ ও খাইবারের মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মালিক হুতি। তাদের কাছে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য বেশ কয়েক ধরনের ক্রুজ মিসাইলও রয়েছে। আকাশপথেও তারা শক্তিশালী।

 

এছাড়া আবাবিল, সামাদ, শিহাব, শাহেদের মতো আত্মঘাতী ড্রোন তো আছেই। সেই সঙ্গে আছে মেরসাদ ওয়ান ও টু নামের চালকবিহীন ইরানি যুদ্ধযান।

 

সমুদ্রপথে শত্রুদের মোকাবিলায় অ্যান্টিশিপ মিসাইল ও রকেট রয়েছে হুতিদের ভাণ্ডারে। ইরানের তৈরি কয়েক ধরনের সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের পাশাপাশি তুফান, করনেটের মতো এন্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইলেরও মালিক এই গোষ্ঠীটি।

বিভিন্ন ধরনের আধুনিক মর্টার, মাল্টিপল গ্রেনেড লঞ্চার, রাইফেল, মেশিনগানও আছে হুতি বিদ্রোহীদের। দীর্ঘদিন ধরে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে তারা। গুঞ্জন রয়েছে, ইরান ছাড়াও হুতিদের অস্ত্র সহায়তা দেয় কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া।