[t4b-ticker]
বিভাগীয় কমিশনার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। যা বাংলাদেশের অতীত ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে কৃষিবান্ধব সরকার হওয়ার কারণে।  সার-বীজের সহজ প্রাপ্যতার কারণে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ২০০৬ সালের থেকে বর্তমানে সামগ্রিক কৃষিতে উৎপাদন প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সিলেটে সদর উপজেলায় মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত ৫০ একর আমন ধানের সমলয় চাষাবাদ (Synchronised Cultivation) প্রদর্শনীর কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা শস্য কর্ত্বন ও কৃষক সমাবেশে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি একথা বলেন।

 

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. জসিম উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার প্রমুখ।

 

সরকারের কৃষির উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কারণে কৃষি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা হলেই কৃষকরা হাতের কাছেই কৃষি কর্মকর্তাদের পাচ্ছেন উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার এ সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে অপার সম্ভাবনার কৃষিকে সম্পদে রূপান্তর করতে বলেন। রাজশাহী-যশোরসহ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সিলেট অঞ্চলে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির বিস্তার করতে তিনি সিলেট আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে অনুরোধ করেন।

 

কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের অমূল্য সম্পদ এ জমিকে ব্যবহার করে আয় বাড়াতে হবে। এখানে পানিসহ অন্যান্য যে সমস্ত সমস্যার কথা বলা হয়েছে সেগুলো আমরা কৃষি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকল শাখায় জানাব যাতে এ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আমাদের এক ফসলি জমিকে দুই ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে হবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ধারাবাহিক বরাদ্দ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরাদ্দ বাড়ালে কৃষির উৎপাদন

বাড়বে, দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। প্রবাসী অনাবাদি কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমানে পৃথিবী যেভাবে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া এবং অন্যান্য যুদ্ধের কারণে সেরকম নাও চলতে পারে। আপনি ভাবছেন যে ইউরোপ থেকে

 

টাকা আসবে আপনি তা এখানে ব্যয় করবেন এরকম নাও হতে পারে। তাই এ কৃষি জমি হচ্ছে সম্পদ, নিজের সম্পদ থেকে নিজেকেই উৎপাদন করতে হবে, উৎপাদন করা শিখতে হবে তাহলেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাঁচা যাবে।

পরে বিভাগীয় কমিশনার স্থানীয় কৃষকের ধান কাটা জমিতে শস্য বীজ বপন করেন।