অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং হামাসের চার দিনের যুদ্ধবিরতি এখন শেষের পথে। চলমান পরিস্থিতিতে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি গাজায় আবারও সামরিক অভিযান চালু করে তাহলে তেলআবিবকে এর জন্য কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। মঙ্গলবার সকালের দিকে প্রথম দফার চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে গাজার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতির সময় বৃদ্ধি এবং আরও জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ‘গাজায় সামরিক প্রক্রিয়ায় ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তনে পরিষ্কার জবাব দেওয়া হবে।’
ইরানসমর্থিত আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো দেখিয়েছে যে, তারা নিষ্ক্রিয় থাকবে না। শুধু তাই নয়, তারা নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাতে দ্বিধা করবে না।
এর আগে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে সংকটের মধ্যে পড়েছে। এ পর্যন্ত তাদের ৩শরও বেশি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে। এ অবস্থায় ইসরায়েল বুঝতে পেরেছে, যুদ্ধ অব্যাহত রাখলে তাদের যুদ্ধের যন্ত্রপাতি নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের এক সমাবেশে বলেন, ইসরায়েলের অক্ষমতা ও ব্যর্থতা আজ স্পষ্ট। ইসরায়েল যদি তার ভুলগুলো থেকে শিক্ষা না নেয় এবং আবারও ভুল করে তাহলে দেশটি আরও বড় ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হবে।
জেনারেল সালামি আরও বলেন, লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে ব্যস্ত রেখেছে। ইসরায়েল পশ্চিম তীরেও সংকটের মুখে পড়েছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি পিতা বা অভিভাবকরা তাদের শহীদ শিশুসন্তানের মরদেহ হাতে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। আর এমন একটি জাতিকে কখনো শত্রুরা হারাতে পারবে না।’