[t4b-ticker]

ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিলেট মহানগরীর উপকণ্ঠের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনি এলাকা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারে সরগরম ভোটের মাঠ। তবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে ভোটের মাঠে চাপে আছেন নৌকার মাঝি।

সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা। ভোটারদের মন জয়ে হাবিব ও দুলালের চলছে নির্ঘুম প্রচার-প্রচারণা।

 

এ আসনে ছয়জন প্রার্থী হলেও লড়াই হবে মূলত আওয়ামী লীগের হাবিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. দুলালের মধ্যে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেউ দলীয় প্রার্থীর আবার কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তৃণমূলেও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। এ অবস্থায় এবার নৌকার প্রার্থীরা দলীয় নেতাকর্মীদের একচ্ছত্র সমর্থন পাচ্ছেন না। ফলে দলের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হাবিবের বিরুদ্ধে এবার নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. দুলাল গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি দলের বাইরে অন্য মতের ভোটারদেরও কাছে টানার চেষ্টা করছেন।

 

সোমবার রাতে দক্ষিণ সুরমার জালালপুরে এক নির্বাচনি পথসভায় ভোট চেয়ে ডা. দুলাল বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে মহড়া দিয়ে এমপি হাবিবের কর্মীরা মাস্তানি করছে। এসব করে লাভ হবে না, জনগণ ৭ জানুয়ারি এর জবাব দেবেন। আমি নির্বাচিত হলে জনগণের আমনত নিয়ে কখনো খেলা করব না। আমি সংসদে গিয়ে বলব না বিদ্যুৎ বিল বাড়াতে। জনগণের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ আমি করব না। সাধারণ জনগণ এখন সবই বোঝেন। কাকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে, আবার কাকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে না। তাই এবার জনগণ ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের পথ বেছে নেবেন।’

 

মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে গণসংযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আবার যদি প্রধানমন্ত্রী হন আর আমি যদি আবার এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে এই জনপদে আবারও উন্নয়ন হবে। আমি বিগত উপনির্বাচনে যে ওয়াদা আপনাদের করেছিলাম, তা পূরণ করার চেষ্টা করছি। গত আড়াই বছরে আমি যে উন্নয়ন করেছি, তা আমার এলাকার জনগণ জানেন। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের পরিবারের সদস্য, তাই আগামী নির্বাচনে আপনাদের একটি ভোটও যেন নৌকার বাইরে না যায়।’