[t4b-ticker]

অনলাইন ডেস্ক 

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র করে  রাজধানী ঢাকায়  বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করেছে সরকার।

আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিজিবির জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে ঘিরে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা।

কাকরাইল, পল্টন ও বিজয়নগরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা–কর্মীরা। এ সব ঘটনায় একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

এসব সংঘর্ষে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

কালভার্ট মোড়, পুরানা পল্টন ও সেগুন বাগিচা—এই তিন দিক থেকে ঘেরাও করে পুলিশকে আক্রমণ করছে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীরা। পানির ট্যাংক মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে।

বিএনপি, গণ অধিকার, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করেছেন তারা।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক দফা দাবি আদায়ে মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। গতকাল বিকেল থেকে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলের নেতা–কর্মীরা। আজ সকাল গড়িয়ে দুপুরের পর সমাবেশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

কিছু দূরে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সকালে থেকে সেখানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন দলটির নেতা–কর্মীরা। এরপর দুপুরের দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়।

এদিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পায়নি। পরে তারা অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। আজ সকাল থেকেই দলটির নেতা–কর্মীরা মতিঝিলের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নেয়। তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাপলা চত্বরে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে জামায়াতকে আরামবাগে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।